বাংলাদেশ ডেস্ক | শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
সংশোধন আনা হচ্ছে বাড়ি বিক্রির গত ১০০ বছরের একটি আইনে। এই আইনটি হলো আমেরিকায় বাড়ি বিক্রেতাদের যে ৬% কমিশন পে করতে হতো তা কমিয়ে আনা হবে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস বা এনএআর এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। ফলে বাড়ি বিক্রির খরচ কমবে। অন্য অর্থে বাড়ির দাম কমবে। রিয়েল এস্টেট ট্রেড গ্রুপও এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে লিখেছে নিউইয়র্ক টাইমস এর এক সংবাদ প্রতিবেদনে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে আমেরিকায় বাড়ির মালিকরা প্রতি বছর গড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার পে করেন বাড়ি বিক্রির কমিশন বাবদ। আমেরিকার রিয়েল এস্টেট এজেন্টরা পৃথিবীর যে কোন দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি আয় করেন কমিশন বাবদ। অনেক দেশেই এই কমিশনের হার ১ বা ২ শতাংশ। আমেরিকার রিয়েল এস্টেট এজেন্টরা বাড়ি প্রতি ৫বা ৬ শতাংশ কমিশন গ্রহণ করেনে। এই কমিশন পে করতে হয় বাড়ির বিক্রেতাকে। যদি ক্রেতার কোনো এজেন্ট থাকে, তাহলে দুই এজেন্ট উক্ত কমিশন ভাগাভাগি করেন। টাইমস উদাহরণ হিসেবে লিখেছে, একটি বাড়ির দাম যদি হয় ১ মিলিয়ন ডলার হয়, তাহলে বিক্রেতা বাড়ির মালিককে বিক্রির সময় রিয়েল এস্টেট কমিশন বাবদ ৬০,০০০ ডলার খরচ করতে হয়। এর মধ্যে ৩০,০০০ ডলার যায় বিক্রেতার এজেন্টের পকেটে আর ৩০,০০০ ডলার যায় ক্রেতার এজেন্টের পকেটে। রিয়েল এস্টেট বিষয়ক অর্থনীতিবিদদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, কমিশন কমে গেলে পুরো আমেরিকাতেই বাড়ির দাম কমে যাবে। উল্লেখ্য মিজৌরির একজন বাড়ি বিক্রেতার পক্ষ থেকে এই অতিরিক্ত কমিশনের বিরুদ্ধে ক্লাস এ্যাকশন মামলা দায়ের করা হয় ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস’ এর বিরুদ্ধে। মামলার সেটলমেন্টে আমেরিকার ১৫ লক্ষ রিয়েল এস্টেট এজেন্টকে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় শুক্রবার সকালেই। তবে এনএআর সিইও নিকিয়া রাইট ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, রিয়েল এস্টেট এজেন্টরা কোনো অন্যায় করেননি। তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আদালতের এই রায়ে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পোস্ট লিখছে যদি ফেডারেল কোর্ট এই সেটলমেন্ট চূড়ান্তভাবে অনুমোদ দেয় তাহলে জুলাই মাস থেকেই তা কার্যকর হবে।
Posted ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh